মোমবাতির আলোয় এসএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ । ৬:৩২ অপরাহ্ণ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যেই লোডশেডিংয়ের কারণে মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। এতে বৃষ্টিতে ভিজেই অনেক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। ফলে উপজেলার ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পরেও বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। ভারী বৃষ্টিতে কিছু কক্ষে পানি প্রবেশ করায় ও অন্ধকারে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং শুরু হয়। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে অন্ধকার কক্ষে শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষায় বসেন।

ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, বাইরে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় কক্ষে বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল।

আরেক পরীক্ষার্থী ফায়েক ইসলাম বলেন, ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। ঠান্ডায় হাত কাঁপছিল, তারপরেও সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছি। মোমবাতির আলোয় লেখাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।

জেন্সি নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, প্রশ্ন দেওয়ার আগেই বৃষ্টির সঙ্গে সব অন্ধকার হয়ে যায়। পরীক্ষা শুরুর সাথেই কর্তৃপক্ষ মোমবাতি দিয়েছে। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি যা সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা।

এদিকে, পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীরা বলছেন যে, তারা মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা দেওয়া একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। তবে, পরিস্থিতি যাই হোক, তারা শান্তভাবে তাদের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছেন এবং ভালো ফলাফলের আশাবাদী।

পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষারত এক অভিভাবক বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি। আমার ছেলে ভিজে কেন্দ্রে এসেছে। আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি।

এ ব্যাপারে ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে লোডশেডিং শুরু হয়। তবে আমরা চার্জার লাইট ও মোমবাতির ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষায় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। এ কেন্দ্রে ৪টি বিদ্যালয়ের মোট ৬৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন এবং শিক্ষার্থীরা খুব সুন্দরভাবেই তাদের প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম বলেন, সকাল থেকে প্রচুর ভারী বর্ষণে বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে লাইনে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: মোফাসিরুল রাশেদ , নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মোফাচ্ছিলুল মাজেদ ।  কপিরাইট © দৈনিক খবর একদিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন