
শীত বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে। ইতোমধ্যে লেপ-কম্বল আলমারি বন্দি করার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। মাথার ওপর ফ্যান না চললে মিলছে না স্বস্তি। এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ত্বকের। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে নাজেহাল হতে হয়। ব্রণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংক্রমণ দেখা দেয় এই আবহাওয়ায়।
ত্বকের এসব সমস্যা দূর করতে ভরসা রাখতে পারেন টি ট্রি অয়েল। এই তেলে আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান। ব্রণ কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের জেল্লা ফেরানো সবকিছুতেই সিদ্ধহস্ত টি ট্রি অয়েল। ত্বকের পরিচর্যায় টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করলে কী কী সুফল মিলবে জানুন-
ব্রণ সমস্যা দূর হবে
ব্রণ নিয়ে অনেকেই সবসময় নাজেহাল থাকেন। নামীদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও মেলে না সুফল। এত কিছু না করে শুধু টি ট্রি অয়েল মাখলেই ত্বকের ধারেকাছে আসবে না ব্রণ। তবে টি ট্রি অয়েল সরাসরি না মেখে গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলে ভালো। ত্বকে কিছুক্ষণ এই মিশ্রণ রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক হবে মসৃণ ও কোমল
এক্সফোলিয়েটর হিসাবেও কাজ করে টি ট্রি অয়েল। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ ও ঝকঝকে।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে
ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন টি ট্রি অয়েল। অনেকেই বিভিন্ন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে দু’ফোঁটা এই তেল মিশিয়ে মাখতে পারেন। এতে ত্বক আরও কোমল থাকবে।
রোদের পোড়াভাব এবং দাগ–ছোপ কমবে
রোদে পোড়াভাব আর ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে টি ট্রি অয়েল বিশেষভাবে উপকারী। এজন্য দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল বা টমেটোর রসের সঙ্গে দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মুখে মাখুন। আর দাগ–ছোপ যদি বেশ পুরনো এবং শক্ত হয়ে থাকে তাহলে এ দুটি মিশ্রণের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন।