নববর্ষে সর্ববৃহৎ ড্রোন শোতে ফুটে উঠল জুলাই গণঅভ্যুত্থান

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সর্ববৃহৎ ড্রোন শো উপভোগ করল লাখো দর্শক। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ড্রোন শোতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো, মুগ্ধর পানি বিতরণের আইকনিক দৃশ্যও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন শোতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা প্রভৃতি ড্রোন এবং রঙিন আলোর কারুকার্যে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এ ড্রোন শো আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত লাখো দর্শক মুগ্ধ হয়ে দেখেন- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে প্রতীকী মুগ্ধ, ‘২৪-এর বীর’, পায়রার খাঁচা ভাঙা, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা প্রভৃতি থিম। এছাড়া জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদও শোতে স্থান পেয়েছে প্রতীকীভাবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এ ড্রোন শো কেবল বিনোদনের নয়, বরং এটি বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গণআন্দোলন, মানবিক বিপর্যয় এবং আশা-ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।
ড্রোন শোর আগে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় বৈশাখী কনসার্ট। কনসার্টের শুরুতেই পরিবেশনায় অংশ নেয় বান্দরবানের বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। এরপর গারো ও আরএনআর ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’ সংগীত পরিবেশন করে।
শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি। একক সংগীত পরিবেশন করেন মিঠুন চক্র ও পালাকার ইসলামউদ্দিন। রাকিব ও সাগর দেওয়ান পরিবেশন করেন দ্বৈত ও একক সংগীত, আরজ আলী ওস্তাদের সঙ্গে রাকিব পরিবেশন করেন আরও দুটি দ্বৈত গান।
আতিয়া আনিশা পরিবেশন করেন ‘চলো নীরালায়’ সহ তিনটি একক সংগীত, আহমেদ হাসান সানি গেয়েছেন ‘মাঝে মাঝে তুমি এলে’, ‘মানুষ কেন এরকম’ ও ‘গল্প না’। শেষে ‘জুলাই আন্দোলন’সহ তিনটি গান পরিবেশন করেন পারশা। অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে মঞ্চ মাতায় ‘অ্যাশেজ’ ব্যান্ড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন