রমজানের আগেই বেড়েছে তরমুজের দাম

0-4608x3466-0-0#
বাংলাদেশে ইফতারে সবসময়ই জনপ্রিয় তরমুজ। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন।
দিনাজপুরের খানসামার খুচরা বাজারে এই ফলের দাম এখন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনলেও চড়া দামে ক্রেতাদের তা কিনতে হচ্ছে কেজি দরে। এদিকে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, এসব তরমুজের অধিকাংশই অপরিপক্ব।
তারপরও বাজারগুলোতে যে তরমুজ মিলছে, তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর ভেতরে লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টতা আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল উঠে এপ্রিলে। এরপর মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়।
সরজমিনে উপজেলার বাজারগুলোতে ফলের দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজানের সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। তাও চড়া দামে। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না।
অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার উপজেলায় তরমুজের তেমন আবাদ হয়নি। তাই বাইরে থেকেই এসব আনা হচ্ছে।
তরমুজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘সামনে রোজা তাই তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগছে। যদি দামটা ২০-৩০ টাকা কেজি হতো তাহলে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হতো। মানুষের কষ্টের কথা ভেবে অসাধু ব্যবসায়ী ও বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকারের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।
পাইকারি ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘রমজান মাস আসছে, তাই আগেই তরমুজ বাজারে এসেছে। কারণ রোজাদাররা টাকা বেশি দিয়ে হলেও একটু ফল মুখে দিতে চান। ইফতারে নতুন নতুন ফল রাখতে চান। সঙ্গে আবার গরমও পড়তে শুরু করেছে।’
আপনার মতামত লিখুন