খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নবীজির দাদা যেভাবে নিশ্চিহ্ন জমজমের সন্ধান পেয়েছিলেন

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
নবীজির দাদা যেভাবে নিশ্চিহ্ন জমজমের সন্ধান পেয়েছিলেন

হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে মক্কার মরুভূমিতে নিজের শিশুসন্তান ইসমাইল (আ.) ও স্ত্রী হাজেরা (আ.)-কে রেখে এসেছিলেন। খাবার দাবার ও পানি শেষ হয়ে গেলে একসময় ইসমাইল (আ.) তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন। পানির সন্ধানে মা হাজেরা হন্যে হয়ে সাফা-মারওয়া দৌড়েছিলেন। কিন্তু পানি পাননি। একসময় শিশু ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছিল জমজম কূপ। পরবর্তীতে মক্কায় বসবাসকারী বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায় কূপটি নিয়ন্ত্রণ করে। জুরহুম নামে একটি গোত্র মক্কা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পায়।

এ সময় খুজাআ নামক একটি গোত্র মক্কায় আক্রমণ করে। আক্রমণের সময় জুরহুম গোত্র মক্কা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা জমজম কূপের মুখ ঢেকে দিয়ে যায়, (যাতে খুজাআ গোত্র মক্কায় স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস ও পানি পান করতে না পারে) এবং কাবার ভেতর রক্ষিত সব সোনাদানা লুকিয়ে রেখে পলায়ন করে। এরপর সংস্কারের অভাবে একসময় জমজম কূপের স্থান মাটিতে ভরাট হয়ে যায়। এভাবেই কালের আবর্তে এক সময় কূপটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। মানুষ কূপটির কথাও ভুলে যায়।

পরবর্তীতে কূপটি খনন করে পুনরুদ্ধার করেন আমাদের নবীজির দাদা আব্দুল মুত্তালিব। সেসময় তিনি ছিলেন কুরাইশদের গোত্রপ্রধান। এক রাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, তাকে জমজম কূপ খনন করতে বলা হচ্ছে এবং স্বপ্নেই তাকে কূপের জায়গাটি নির্দিষ্ট করে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘুম ভাঙার পর আব্দুল মুত্তালিব স্বপ্নের বিষয়টি কয়েকবার ভাবেন। এরপর নিজের বড় ছেলে হারিসকে নিয়ে স্বপ্নের দেখানো জায়গায় জমজম কূপ খননের কাজ শুরু করেন। কূপ খননের সময় এখান থেকে তিনি কিছু তলোয়ার, লৌহবর্ম ও দুইটি সোনার হরিণ পেয়েছিলেন। আব্দুল মুত্তালিব তলোয়ারগুলো দিয়ে কাবা ঘরের দরজা ঢালাই করেন, সোনার হরিণ দুটি দরজার সঙ্গে সন্নিবেশিত করে রাখেন।

খনন কাজ করতে করতে এক সময় আব্দুল মুত্তালিব আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে ফেললেন। চিৎকার করে বলে উঠলেন, আমি পেয়েছি, আমি পেয়েছি! মক্কাবাসী দেখ, আমি জমজম কূপ খুঁজে পেয়েছি! আব্দুল মুত্তালিবকে ঘিরে ধরল মক্কার বিভিন্ন গোত্র। বলল— আব্দুল মুত্তালিব! এটা আমাদের পূর্বপুরুষ ইসমাইল (আ.)-এর কূপ। কাজেই আমরা সবাই এটার অংশীদার।

আব্দুল মুত্তালিব বললেন— না, এই কূপ আল্লাহ আমাকে স্বপ্নে দেখিয়েছেন। আমি তোমাদের সবাইকে পানি দেব, কিন্তু এর মালিকানা আমার থাকবে। বাকিরা কিছুইতে আব্দুল মুত্তালিবের কথা মানতে রাজি হলো না। এ নিয়ে অনেক তর্কবির্তক হলো। বিষয়টির সমাধানে আব্দুল মুত্তালিব বললেন– শোনো! চলো আমরা সবাই মিলে একজন জ্ঞানী মানুষের কাছে যাই যিনি আমাদের এই ঝগড়ার সুরাহা করে দেবেন।

সবাই পরামর্শক্রমে বনু সাদ গোত্রের এক ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। তিনি অনেক দূরে থাকতেন। সবাই মিলে তার কাছে রওনা হলেন। তার কাছে যাওয়ার সময় মরুভূমিতে কাফেলার কাছে থাকা সব পানি শেষ হয়ে গেল। কারো কাছে খাওয়ার মতো কোনো পানি অবশিষ্ট থাকলো না। নির্জন মরুপ্রান্তরে পানি ছাড়া জীবন বাঁচানোর কোনো উপায় নেই। এদিকে অনেক খোঁজাখোঁজি করেও পানির কোনো হদিস মিললো না। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে কাফেলার সবাই মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গুণতে লাগলো। মৃত্যুর পর প্রাণী-পাখিদের কবল থেকে লাশ রক্ষা করতে সবাই নিজের জন্য কবর খুঁড়ে রাখলো, যেন কেউ মারা গেলে অন্তত অন্যরা দাফন করতে পারে।

এই কঠিন মুহূর্তে আব্দুল মুত্তালিব বলে উঠলেন– আল্লাহর কসম! এভাবে মৃত্যুর কাছে হার মানার কোনো মানে হয় না। হয়তোবা আল্লাহ আমাদের জন্য অন্য কোথাও পানি রেখেছেন, চলো আমরা আবার চলা শুরু করি! এই বলে যেই মাত্র আব্দুল মুত্তালিব তার উটের পিঠে চড়েছেন, উট তখন ঝটকা মেরে মাটিতে খুর দিয়ে আঘাত করল– আল্লাহর কুদরতে বালুর ভেতর থেকে ফিনকি দিয়ে পানি বের হওয়া শুরু হলো।

সবাই অবাক হয়ে বলে উঠলো—ওটা কী আব্দুল মুত্তালিব! ওটা কী? তুমি আরেকবার আরেকটা কূপের সন্ধান পেয়ে গেছ! সবাই যেন নিজের জীবন ফিরে পেল! প্রাণ ভরে পানি পান করে পানির পাত্রগুলো ভরে নিলো।

এ ঘটনার পর কুরাইশবাসীর মন পাল্টে গেল। তারা ভাবল এটা নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো ইশারা, তাই তো এই নির্জন মরুভূমিতে আবারো পানির সন্ধান পেলেন আব্দুল মুত্তালিব। তাই জমজমের দায়িত্ব আব্দুল মুত্তালিবকেই দেওয়া যুক্তিযুক্ত। তখন তারা সমস্বরে বলে উঠল— যে আল্লাহ তোমাকে মরুভূমিতে এই পানির সন্ধান দিয়েছেন, তিনিই তোমাকে জমজম দিয়েছেন। এরপর তারা সমাধানের জন্য সেই ব্যক্তির কাছে না গিয়ে মক্কায় ফিরে গেল এবং জমজমের মালিকানা আব্দুল মুত্তালিবকে ছেড়ে দিল। (সিরাতে ইবনে হিশাম ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ১৪২-১৪৭)

এ পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল মুত্তালিব মানত করেছিলেন যে আল্লাহ তাআলা যদি অনুগ্রহ করে তাঁকে ১০টি পুত্রসন্তান দান করেন এবং সবাই বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে জীবনের এ স্তরে গিয়ে পৌঁছে যে তাঁরা আত্মরক্ষা করতে সক্ষম, তাহলে তিনি তাঁর একটি সন্তানকে বায়তুল্লাহর জন্য উৎসর্গ (কোরবানি) করবেন। (ইবনে হিশাম, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৪২-১৪৭)

আবদুল মুত্তালিব ছেলেদের মধ্যে কাকে কোরবানি করা যায়—এ ব্যাপারে লটারি দেন। লটারিতে আবদুল্লাহর নাম উঠে যায়। আবদুল মুত্তালিব আবদুল্লাহর হাত ধরে তাঁকে নিয়ে যান কাবার কাছে। তাঁর হাতে ছিল জবেহ করার ধারালো অস্ত্র। কিন্তু কোরাইশদের মধ্যে বনু মাখজুম অর্থাৎ আবদুল্লাহর নানা গোষ্ঠীর লোকজন এবং আবদুল্লাহর ভাই আবু তালিব এ ব্যাপারে তাঁকে বাধা প্রদান করেন।

মানত পূরণের বিকল্প পদ্ধতি জানতে আবদুল মুত্তালিব জনৈক তত্ত্ববিশারদের পরামর্শ চান। তিনি আবদুল্লাহ এবং ১০টি উটের মধ্যে নির্বাচনগুটিকা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। নির্বাচনী গুটিকায় যদি আবদুল্লাহর নাম উঠে যায় তাহলে ১০টি উটের সঙ্গে আরো ১০টি উট যোগ করে নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করতে হবে যে পর্যন্ত না আবদুল্লাহর নামের স্থানে ‘উট’ কথাটি প্রকাশিত হয় সে পর্যন্ত একই ধারায় নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করে যেতে হবে, যতক্ষণ না আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে যান। তারপর উটের যে সংখ্যা নির্ধারক নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করা হবে সেই সংখ্যক উট আল্লাহর নামে উৎসর্গ করতে হবে। সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আবদুল মুত্তালিব, আবদল্লাহ ও ১০টি উটের মধ্যে নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে আবদুল্লাহর নামই প্রকাশিত হয়।

তত্ত্ববিশারদের নির্দেশ মোতাবেক দ্বিতীয় দফায় উটের সংখ্যা আরো বেশি বৃদ্ধি করে তিনি নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করেন। কিন্তু এতেও আবদুল্লাহর নামই উঠে যায়। কাজেই পরবর্তী প্রত্যেক দফায় ১০টি উটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তিনি নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করে যেতে থাকেন। এ ধারায় চলতে চলতে যখন এক শ উট এবং আবদুল্লাহর নাম নির্বাচনী গুটিকায় ব্যবহার করা হয়, তখন উট কথাটি প্রকাশিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল মুত্তালিব আবদুল্লাহর পরিবর্তে ১০০ উট আল্লাহর নামে উৎসর্গ করেন। আর এ জন্যই রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমি দুই জবেহ (উৎসর্গকৃত)-এর সন্তান, একজন ইসমাঈল (আ.) এবং অন্যজন আমার পিতা আবদুল্লাহ। (রহমাতুল্লিল আলামিন, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৮৯-৯০)

বীরগঞ্জে দুর্নীতি নিরসনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রি‌পোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৭:১০ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে দুর্নীতি নিরসনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

Exif_JPEG_420

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক দিনব্যাপী একটি বিজ্ঞান উৎসব পালিত হয়েছে। বিজ্ঞান উৎসবে বিতর্ক, তাৎক্ষণিক কুইজ ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকালে Future Pulse of Bangladesh (FPB) ‘শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, সহপাঠ্যিক ও ব্যক্তিগত ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি অরাজনৈতিক সংগঠন’ এর আয়োজনে এবং বর্ণমালা ডিবেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও কুয়েট ছাত্র ইফতেহার আহাম্মেদ তৌফিকের সভাপতিত্বে “শিক্ষা উৎসব-২০২৫” বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

“তরুণ চিন্তায় গড়ে উঠুক আগামীর বাংলাদেশ” এই বিষয়ের উপরে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বীরগঞ্জ উপজেলার সকল উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। পরে চূড়ান্তভাবে পক্ষে বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিপক্ষে বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পক্ষে ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতন এবং বিপক্ষে বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে।

“দুর্নীতি নিরসনে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছাই মুখ্য ভুমিকা রাখতে পারে,”-শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বিজয়ী হয়েছে। সেরা বক্তা নির্বাচিত হয়েছে জারিন আনজুম অথৈ।

এসময় প্রতিযোগিতায় অলিম্পিয়াড, সনাতনী বাংলা বিতর্ক, তাৎক্ষণিক কুইজ পর্ব শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বির্তক প্রতিযোগিতার মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শায়লা শরাফী।

বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ নিলয়, কুয়েটের সিভিল বিভাগের ছাত্র তায়াস,হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মামুন ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়েটের সিভিল বিভাগের ছাত্র ও (FPB) সহ-সভাপতি হামিম ইকবাল এবং রুয়েট ছাত্র ও (FPB) এর জেনারেল সেক্রেটারি ইফতেখার হাসনাত রাহি।

বিরামপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার

বিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
বিরামপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার

দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর এর সহযোগিতায় বুধবার (৪ জুন) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিন সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন,

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপুল কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা আক্তার সুমি, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, কোচ কাউন্টার ম্যানেজার আমিন উদ্দিন, মোরশেদ আলম, মশিউর রহমান সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব‍্যবসায়ী ও ভোক্তাবৃন্দ।

সেমিনার শেষে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব‍্যক্তিদের হাতে নির্ধারিত বাস ভাড়ার তালিকা প্রদান করা হয়।

বীরগঞ্জে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির প্রশিক্ষণ

বীরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির প্রশিক্ষণ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির “বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০২৪” বিষয়ক উপজেলা কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে সাপোর্টিং ইমপ্লিমেন্টেশন অফ মাদার এন্ড চাইল্ড বিনিফিট প্রোগ্রাম শীর্ষক প্রকল্প ও মহিলা বিষয়ক ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা কমিটির এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিবেদিতা দাস, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ শাহজিদা হক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মামুন হোসেন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব, আর্থিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিবেদিতা দাস বলেন, মা ও শিশুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, ভাতা প্রদান পদ্ধতি, সুবিধাভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া, ভোগান্তি হ্রাস ও কার্যকর বাস্তবায়ন কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ একটি বৈষম্যহীন, নিরাপদ ও সুস্থ প্রজন্ম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মা ও শিশুর সার্বিক কল্যাণে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ।