খানসামায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন

অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এ আহ্বান জানায় বাঙালিরা। পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। নতুন বাংলা বর্ষের প্রথম দিনের ভোরের আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে।
সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের খানসামায় আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্যে দিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩২’ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার র্যালী বের হয়ে উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে উপজেলা বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
এরপরে এসো হে বৈশাখ গান ও দেশাত্ববোধক গান, লোকজ নৃত্য ও আবৃত্তির মাধ্যমে নববর্ষকে আহবান করা হয়। উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশিক আহমেদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রতন কুমার রায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জাকির হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হকসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, ইউপিচেয়ারম্যানগন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালন বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি সমাজ নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের এ দিনটি বাঙালি জাতির এক মহামিলন মেলায় রূপান্তরিত হয়। বিগত বছরের সকল ব্যর্থতা, গ্লানিসহ সবকিছু ভুলে নববর্ষকে বরণ করে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন