আল্লাহ ও রাসুলের অবমাননা কারিকে শাস্তির দাবিতে হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: কে কটূক্তিকারী রাখাল রাহা ও শাতিমর রাসুল সোহেল গালিবের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তৌহিদী জনতা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা (সাজ্জাদুর রহমান) আল্লাহ তাআলার শানে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশ করেন। পরিস্থিতির চাপে পরে তিনি পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলেন। তার মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত করেছে, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
এই ধরনের বক্তব্য শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি, সামাজিক বিভাজন উস্কে দেওয়া এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা বিনষ্টের একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেয়। “নারায়েক তাকবীর, আল্লাহু আকবার”, “বিশ্বনবীর অপমান, সইবেনারে মুসলমান”, “শাহজালালের বাংলায়, শাতিমের ঠাই নাই। বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান”, ইত্যাদি।
বিক্ষোভ মিছিলটি বাংলাহিলি বাজার এলএসডি গোডাউন মোড় থেকে শুরু হয়ে বাংলাহিলি বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে এলএসডি গোডাউন মোড়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হিলি এল এসডি গোডাউন মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে মুফতি মাহ্দি হাসান তাজপুর দিনাজপুর নায়েবে মহতামিম বলেন রাখাল রাহা মুসলমানের নাম নিয়ে লেবাস নিয়ে আসলে সে মুসলমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চায় সবাইকে সতর্ক করতে চাই এদেশ মুসলমানের দেশ, এ দেশ তৌহিদী জনতার দেশ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ, এখানে সবাই শান্তিতে বসবাস করবে, তার মানে এই নয় যে কেউ আমাদের উপর আঘাত করবে আর আমরা তা সহ্য করব না । অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন করে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুফতি মহাদ্দিস নুরুল করিম কাসেমি হিলি জামিয়া বলেন রাখাল রাখা তাহাজ্জুদের নামাজ নিয়ে সে এমন কথা বলেছেন যা মুখে বলা সম্ভব নয়। সে এটা প্রকাশ করার সাহস পেল কিভাবে? যদি আইন করা যায় যদি কেহ আল্লাহর নামে রাসুল সঃ এবং ইসলামের নামে কটুক্তি করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। তাহলে যেকোন নাস্তিক এগুলি প্রকাশ করার সাহস পাবে না। উপযুক্ত আইন নাই বলে সে এমন কথা প্রকাশ করার সাহস পেয়েছে। সে নাস্তিক তার সঙ্গীর কারণে তার শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে শিক্ষকের কারণে সে নাস্তিক হয়েছে। আমাদের নিজেদের ঘরের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে নতুন করে যেন আর কেউ নাস্তিক না হয়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই জন্য আপনার সন্তানকে আগে মুসলমানের শিক্ষা কোরআন শিক্ষা দিন জাগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। স্কুল কলেজে পড়ে ফুল মুসলমান আছে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম।
এলাকার তৌহিদী জনতা আল ফুয়াদ রাকিব নামের এক তৌহিদী জনতা বলেন যদি আমরা আমাদের ধর্ম ও রাসূল(সা:)কে কটূক্তি করার বিচার না পাই তাহলে আন্দোলন করাছাড়া উপায়থাকবে না। আমি প্রশাসনকে আহ্বান জানাই তারা যেন দ্রুত আইন করে এসব নাস্তিক ও ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে। নাহলে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইসলাম ও রাসূল(সা:)কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ডাক দিবে।
আপনার মতামত লিখুন